গঠনতন্ত্র

গঠনতন্ত্র – বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন

প্রথম অধ্যায়

১নং ধারাঃ নাম  
আমাদের এই সংগঠনের নাম হবে ‘বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন’। এর পর থেকে এই গঠনতন্ত্রে ‘ছাত্র ফেডারেশন’ বলতে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনকেই বোঝাবে  এবং ছাত্র বলতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকল শিক্ষার্থীকে বোঝাবে। ইংরেজিতে Students’ Federation of Bangladesh (SFB).

২ নং ধারাঃ লক্ষ্য
লুটেরা শাসকশ্রেণির লেজুড়বৃত্তিমুক্ত শ্রমিকশ্রেণি তথা ব্যাপক সংখ্যক জনগণের পক্ষের রাজনীতি বিকাশে সহায়ক ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলা।  

৩ নং ধারাঃ মূলনীতি 
ছাত্র ফেডারেশনের চারটি মূলনীতি যথাক্রমে- শিক্ষা, সাম্য, সংগ্রাম, প্রগতি। 

৪ নং ধারাঃ মতাদর্শ 
সাম্যবাদী চেতনায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ও বিশেষভাবে ছাত্র সমাজের স্বার্থ রক্ষাকারী  মতাদর্শের অনুশীলন। 

৫ নং ধারাঃ মনোগ্রাম 
ছাত্র ফেডারেশনের মনোগ্রাম হবে কাস্তে-হাতুড়ি ও কলম ধরা মুষ্টিবদ্ধ ডান হাত। 

৬ নং ধারাঃ পতাকা 
ছাত্র ফেডারেশনের পতাকা হবে গাঢ় লাল জমিনের মাঝখানে হলুদ মনোগ্রাম। পতাকার আয়তন ৩:২, অর্থাৎ দৈর্ঘ্য ৩ ভাগ ও প্রস্থ ২ ভাগ। 

৭ নং ধারাঃ দপ্তর 
ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় দপ্তর ঢাকায় অবস্থিত হবে। 

দ্বিতীয় অধ্যায়

৮ নং ধারাঃ সদস্য 

ক) সদস্য যোগ্যতা 
১. ছাত্র ফেডারেশনের ঘোষণাপত্রে বর্ণিত আদর্শ ও লক্ষ্যের প্রতি আস্থাশীল অর্থাৎ  সাম্রাজ্যবাদী দেশী-বিদেশী শাসন-শোষণ-লুণ্ঠন-সন্ত্রাস, পুরুষতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থা ও তার মতাদর্শ, জাতিগত নিপীড়ন, সা¤প্রদায়িকতা, বর্ণবাদী মর্তাদর্শ ও প্রাণ প্রকৃতি  ধ্বংসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আগ্রহী। 

২. সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা ও জাতীয় মুক্তির লড়াইয়ে  ইচ্ছুক এবং মুক্তিযুদ্ধে জনগণের আকাঙ্ক্ষার গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল বাংলাদেশ  প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আগ্রহী। 

৩. সাম্যবাদী মতাদর্শিক তত্ত্ব আয়ত্ব ও অনুশীলনে আগ্রহী। 

৪. 
ক) নিয়মিত চাঁদা প্রদান এবং সংগঠনের শৃঙ্খলা মেনে চলতে সম্মত এরকম যে কোন ছাত্র নির্ধারিত ফরম পূরণ করে এবং নির্ধারিত অন্তর্ভুক্তি সদস্য ফি প্রদান করে ছাত্র ফেডারেশনের সদস্য হতে পারবেন। এই সদস্যপত্র কেন্দ্র থেকে শাখা পর্যন্ত যে কোন কমিটি অনুমোদন করতে পারবে। 

খ) প্রত্যেক সদস্য সম্মেলনের সময় শাখা, মহল্লা, ওয়ার্ড/ইউনিয়ন, থানা, জেলা  কমিটি নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে ও নির্বাচিত হতে পারবেন। প্রত্যেক  সদস্য নির্দিষ্ট শাখার সকল আলোচনায় অংশগ্রহণ ও মতামত পেশ করতে  পারবেন।  

গ) কাউকে সংগঠন থেকে একবার বহিষ্কার করা হলে তাকে পুর্নবার সংগঠনে গ্রহণ  করার সিদ্ধান্ত উচ্চতর কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে একমাত্র সেই কমিটিই নিতে  পারবে, যে কমিটি থেকে তিনি বহিষ্কৃত হয়েছিলেন বহিষ্কৃত ব্যক্তি যদি কেন্দ্রীয়  কমিটির হন তবে কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে সাধারণ সদস্য হিসেবে  তাঁকে সংগঠনে গ্রহণ করা যাবে। 

তৃতীয় অধ্যায়

৯ নং ধারা : গঠন পদ্ধতি 

ক) ছাত্র ফেডারেশনের গঠন পদ্ধতি নিম্নরূপ:
১. কেন্দ্রীয় সম্মেলন/কেন্দ্রীয় কাউন্সিল বা প্রতিনিধি সম্মেলন 
২. কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি  
৩. কেন্দ্রীয় পরিষদ  
৪. জেলা কমিটি    
৫. থানা কমিটি  
৬. ওয়ার্ড/ইউনিয়ন কমিটি  
৭. মহল্লা কমিটি 
৮. শাখা কমিটি  
৯. সাধারণ সদস্যগণ  

খ) উপরোক্ত স্তরবিন্যাসে প্রশাসনিক বিভাজনের চেয়ে সাংগঠনিক বিবেচনাই অধিক  প্রাধান্য পাবে। 

১০ নং ধারা : কেন্দ্রীয় সম্মেলন/কেন্দ্রীয় কাউন্সিল বা প্রতিনিধি সম্মেলন
ক) কেন্দ্রীয় সম্মেলন/কেন্দ্রীয় কাউন্সিল ছাত্র ফেডারেশনের সর্বোচ্চ সস্থা। কেন্দ্রীয়  সম্মেলন/কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সংগঠনের নীতি, আদর্শ ও লক্ষ্য প্রণয়ন এবং গঠনতন্ত্র  সংশোধন, সংযোজন বা বিয়োজন করবে।  
খ) 
১. কেন্দ্রীয় সম্মেলন সকল সদস্যের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হবে।  
২. কেন্দ্রীয় কাউন্সিল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ  পর্যায়ের প্রতি ৫ জন এবং স্কুল পর্যায়ের প্রতি ২০ জন সদস্যের ১জন এই হারে  নিম্নতর কমিটির সাধারণ সভা (অর্থাৎ সকল সদস্যকে আমন্ত্রণ করে সভা) কর্তৃক  মনোনীত কাউন্সিলরদের দ্বারা অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেক শাখাকে উক্ত সাধারণ সভা আহ্বানের পূর্বে তাদের সর্বমোট সদস্য সংখ্যা কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠাতে  হবে।  
গ) কেন্দ্রীয় সম্মেলন/কেন্দ্রীয় কাউন্সিল প্রতি ২ বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হবে। তবে  বিশেষ পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সম্মেলন/কেন্দ্রীয়  কাউন্সিল-এর সময়সূচি পরিবর্তিত হতে পারবে। 
ঘ) নির্দিষ্ট সময়ে কেন্দ্রীয় সম্মেলন/কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত না হলে কেন্দ্রীয়  নির্বাহী কমিটির বর্ধিত সভা বা কেন্দ্রীয় পরিষদের সভা আহ্বানের মাধ্যমে  পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তা সংগঠনের সকল স্তরে জানাতে হবে। 
ঙ) কেন্দ্রীয় সম্মেলনের/কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের সমস্ত সিদ্ধান্ত সম্মেলনে উপস্থিত কাউন্সিলবর্গের প্রত্যক্ষ ও সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের গৃহীত হবে। 
চ) প্রতি বছর কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ধিত সভায় আমন্ত্রিত সকল সক্রিয় নেতা সংগঠক-কর্মীর উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত সকল সদস্যের কাজের পর্যালোচনা  ও জবাবদিহিতা ব্যবস্থা থাকবে। উক্ত সভা কেন্দ্রীয় কমিটির সকল সদস্যের কাজের  পর্যালোচনা সাপেক্ষে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটিকে  সুপারিশ করতে পারবে। উক্ত সুপারিশ সাপেক্ষে কেন্দ্রীয় কমিটি তার সদস্যবৃন্দকে  দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে যোগ্য নেতা সংগঠকদের থেকে নতুনদের কোঅপ্ট (অন্তর্ভুক্ত) করবে। কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ধিত সভায় কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্যরা  পদাধিকার  বলে আমন্ত্রিত হবেন এর বাইরে শাখা নির্বাচিত সদস্যগণকে প্রেরণ  করতে পারবে।  

১১ নং ধারা : কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি  
ক) কেন্দ্রীয় সম্মেলন/কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে উপস্থিতিত কাউন্সিলরবর্গ [যারা ৮ খ) ২.  ধারা মোতাবেক কাউন্সিলর] পরবর্তী ২ বছরের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠের প্রত্যক্ষ ভোটে  কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচন করবেন।  

   খ) ১. কেন্দ্রীয় কমিটি সর্বোচ্চ ২১ সদস্যের হবে। এই কমিটির কাঠামো নিম্নরূপ :  

সভাপতি ১ জন 
সহ-সভাপতি ১ জন 
সাধারণ সম্পাদক ১ জন 
সহ-সাধারণ সম্পাদক ১জন 
সাংগঠনিক সম্পাদক ১ জন 
অর্থ সম্পাদক ১ জন 
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ১ জন 
রাজনৈতিক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ১ জন  
দপ্তর ও পাঠাগার সম্পাদক ১ জন  
সদস্য ১২ জন  

মোট ২১ জন 

ক) এই সদস্য সংখ্যা কেন্দ্রীয় সম্মেলন/কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদ সৃষ্টি করে বৃদ্ধি করা যেতে পারে। তবে প্রত্যেক কেন্দ্রীয়  সম্মেলন/কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের পূর্বে কমিটির সদস্য সংখ্যা ও কাঠামো নির্দিষ্ট করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কমিটি নির্বাচন করতে হবে।
খ) কেন্দ্রীয় কমিটির হাতে প্রয়োজনবোধে এই কমিটির সকল পদে কোঅপ্ট করার  অধিকার থাকবে।  
গ) প্রয়োজনবোধে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বর্ধিত সভা আহ্বান করা যাবে।  

১২ নং ধারা : কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলী
ক) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, সহ-সভাপতি, সম্পাদকগণ ও সহ-সাধারণ  সম্পাদককে নিয়ে কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলী গঠিত হবে। প্রয়োজনবোধে কেন্দ্রীয়  সম্পাদকমণ্ডলী কোনো কেন্দ্রীয় সদস্যকে সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে আহ্বান করতে  পারবেন।  
খ) কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলী কেন্দ্রীয় কমিটির ২টি সভার অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে কাজ  সম্পাদন করবেন।  
গ) কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলী তার কাজের জন্য কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির নিকট দায়ী  থাকবেন।  

১৩ নং ধারা : কেন্দ্রীয় পরিষদ  

 ক) কেন্দ্রীয় পরিষদ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বর্ধিত ফোরাম।  
খ) কেন্দ্রীয় সদস্যরা পদাধিকার বলে এ কমিটির সদস্য হবেন। জেলা কমিটির  সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক ও অন্য একজন নির্বাচিত  সম্পাদক এবং থানা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক  এবং ওয়ার্ড/ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং মহল্লা কমিটির  সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদক এবং শাখা কমিটি থেকে নির্বাচিত ১ জন এ  কমিটির সদস্য হবেন। 
গ) এ কমিটি তার নিষ্ক্রিয় সদস্যদের কমিটি থেকে বাদ দিয়ে সক্রিয়দের থেকে  নতুন সদস্য কোঅপ্ট (অন্তর্ভুক্ত) করবে।  

১৪ নং ধারা : জেলা কমিটি  
ক) যে কোনো জেলায় ন্যূনতম ৪টি শাখার মধ্যে ১টি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হলে  জেলা কমিটি গঠন করা যাবে। 
খ) ১০০ জন সদস্য সংগৃহীত হওয়া সাপেক্ষে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি জেলা  কমিটি হিসেবে বিবেচিত হবে। 
গ) জেলা কার্যকরী কমিটি পরবর্তী ১ বছরের জন্যে নির্দিষ্ট জেলার সদস্যদের  বার্ষিক সম্মেলনে উপস্থিত প্রতিনিধিদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবে।  
ঘ) জেলা কমিটি সর্বোচ্চ ১৫ সদস্যের হবে। এই কমিটির কাঠামো নিম্নরূপ : 

সভাপতি ১ জন  
সহ-সভাপতি ১ জন  
সাধারণ সম্পাদক ১ জন  
সহ-সাধারণ সম্পাদক ১ জন  
সাংগঠনিক সম্পাদক ১ জন  
অর্থ সম্পাদক ১ জন  
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ১ জন  
রাজনৈতিক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ১ জন  
দপ্তর ও পাঠাগার সম্পাদক ১ জন  
সদস্য ৬ জন 

মোট ১৫ জন  

ঙ) জেলা সম্মেলন/কাউন্সিলের অনুমোদন সাপেক্ষে এই কমিটির সদস্য সংখ্যা  প্রয়োজনীয় পদ সৃষ্টি করে বৃদ্ধি করা যেতে পারে। 
চ) নির্দিষ্ট জেলার অন্তর্ভুক্ত শাখা কমিটিগুলির নিয়মিত চাঁদা প্রদানকারী সদস্যরা  জেলা সম্মেলন/কাউন্সিলের প্রতিনিধি হিসেবে বিবেচিত হতে পারবেন। 
ছ) প্রতি ছয় মাস অন্তর জেলা কমিটির বর্ধিত সভায় আমন্ত্রিত সকল সক্রিয় নেতা,  সংগঠক-কর্মীর উপস্থিতিতে জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সকল সদস্যের কাজের পর্যালোচনা  ও জবাবদিহির ব্যবস্থা থাকবে। উক্ত সভা জেলা কমিটির সকল সদস্যের কাজের  পর্যালোচনা সাপেক্ষে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের জন্য জেলা কমিটিকে  সুপারিশ করতে পারবে। এই সুপারিশ সাপেক্ষে জেলা কমিটি তার কোনো  সদস্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে যোগ্য নেতা সংগঠকদের থেকে নতুনদের  কো-অপ্ট (অন্তর্ভুক্ত) করবে।  

১৫ নং ধারা : থানা কমিটি  
ক) যে কোন থানায় ন্যূনতম ৩টি শাখা, তার মধ্যে ১টি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হলে  থানা কমিটি গঠন করা যাবে। 
খ) ৫০ জন সদস্য সংগৃহীত হওয়া সাপেক্ষে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ,  মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, ডিগ্রি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় হল কমিটি,  বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ থানা কমিটি হিসেবে  বিবেচিত হবে।  
গ) থানা কমিটি নির্দিষ্ট থানার সদস্যদের বার্ষিক সম্মেলনে উপস্থিত প্রতিনিধিদের  প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবে।  
ঘ) থানা কমিটি গঠন নিম্নরূপ হবে : 

সভাপতি ১ জন  
সাধারণ সম্পাদক ১ জন  
সাংগঠনিক সম্পাদক ১ জন  
অর্থ সম্পাদক ১ জন  
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ১ জন  
রাজনৈতিক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ১ জন  
দপ্তর ও পাঠাগার সম্পাদক ১ জন  
সদস্য ৪ জন 

মোট ১১ জন 

ঙ) নির্দিষ্ট থানার অন্তর্ভুক্ত শাখা কমিটিগুলোর নিয়মিত চাঁদা প্রদানকারী সদস্যরা  থানা সম্মেলন/কাউন্সিলের প্রতিনিধি হিসেবে বিবেচিত হবেন।  

১৬ নং ধারা : ওয়ার্ড/ইউনিয়ন কমিটি  
ক) যে কোন ওয়ার্ডে ন্যূনতম ২টি শাখা, তার মধ্যে ১টি পূর্ণাঙ্গ কমিটি হলে ওয়ার্ড  কমিটি গঠিত হবে। 
খ) প্রতিটি উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও ডিগ্রি এবং মেডিকেল ও ডেন্টাল  কলেজ সমূহের হল কমিটি ওয়ার্ড কমিটি হিসেবে বিবেচিত হবে
গ) ওয়ার্ড কার্যকরী কমিটির কাঠামো থানা কার্যকরী কমিটির অনুরূপ হবে
ঘ) নির্দিষ্ট ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত শাখা কমিটিগুলির নিয়মিত চাঁদা প্রদানকারী সদস্যরা  ওয়ার্ড সম্মেলন/কাউন্সিলের প্রতিনিধি হিসেবে বিবেচিত হবেন।  

১৭ নং ধারা : মহল্লা কমিটি  
ক) যে কোন মহল্লাতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্য সংগৃহীত হলে  সম্মেলন/কাউন্সিলের মাধ্যমে মহল্লা কার্যকরী কমিটি গঠন করা যাবে।  
খ) প্রত্যেক স্কুল কমিটি মহল্লা কমিটি হিসেবে বিবেচিত হবে।  
গ) মহল্লা কমিটির কাঠামো ওয়ার্ড কার্যকরী কমিটির অনুরূপ হবে।
ঘ) নির্দিষ্ট মহল্লার অন্তর্ভুক্ত নিয়মিত চাঁদা প্রদানকারী সদস্যরা মহল্লা সম্মেলন/কাউন্সিলের প্রতিনিধি হিসেবে বিবেচিত হবেন।  

১৮ নং ধারা : শাখা কমিটি  
ক) ন্যূনতম ৫ জন সদস্য থাকলে ১ জনকে আহ্বায়ক এবং ১ জনকে সম্পাদক  করে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা যাবে এবং এই আহ্বায়ক কমিটি সাধারণভাবে  শাখা কমিটি হিসেবে বিবেচিত হবে। আহ্বায়ক সভায় সভাপতিত্ব করবেন এবং  সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব করাসহ সংগঠনের সার্বিক কাজ তত্ত্বাবধান করবেন।  সম্পাদক সভা আহ্বান করবেন এবং সংগঠনের সার্বিক কাজ পরিচালনার দায়িত্বে  থাকবেন। আহ্বায়ক কমিটি সংগঠনের বিভিন্ন নিয়মিত কাজের পাশাপাশি  সম্মেলন/কাউন্সিলের প্রস্তুতির কাজ করবে। প্রশাসনিক জেলা স্তরের ক্ষেত্রে ন্যূনতম  ১৫ জন এবং থানা ও তার নিম্নতর স্তরের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১১ জন সদস্য সংগৃহীত  হবে সম্মেলন অনুষ্ঠান করা যাবে। সম্মেলন/কাউন্সিল এর মাধ্যমে গঠিত কার্যকরী  কমিটি উপরিল্লিখিত স্তর এবং কাঠামো অনুযায়ী বিন্যস্ত হবে। শাখা গঠনের পূর্বে  উচ্চতর কমিটির সাথে যোগাযোগ করতে হবে। কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি  সম্মেলন/কাউন্সিলের মাধ্যমে গঠিত শাখা কমিটিগুলোর চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদান  করবে। 
গ) শাখার সম্মেলন/কাউন্সিল-এ নির্দিষ্ট শাখার নিয়মিত চাঁদা প্রদানকারী সদস্যরা  প্রতিনিধি হিসেবে বিবেচিত হবেন। 

চতুর্থ অধ্যায়

১৯ নং ধারা : ছাত্র ফেডারেশনের সাংগঠনিক নীতি  
ছাত্র ফেডারেশনের সাংগঠনিক নীতি হচ্ছে গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতা। সংগঠনের  বিভিন্ন ন্তরে, নেতৃস্থানীয় সংস্থা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত হওয়া। ব্যক্তি  সংগঠনের অধীন, সংখ্যালঘু সংখ্যাগুরুর অধীন, নিম্নস্তর উচ্চতর স্তরের অধীন এবং সমগ্র সংগঠন কেন্দ্রের অধীন থাকবে গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতার এই একক শৃঙ্খলা  মেনেই সমগ্র সংগঠন পরিচালিত হবে। সংগঠনের শৃঙ্খলা গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতার  সঙ্গে সম্পর্কিত এবং সংগঠনের প্রত্যেক সদস্যের স্বাধীনতা শৃঙ্খলার সঙ্গে  সম্পর্কিত, এবং সংগঠনের ভিতরে গণতন্ত্র ও কেন্দ্রিকতার একত্ব এবং স্বাধীনতা ও  শৃঙ্খলার দ্বাদ্বিক ঐক্যই হচ্ছে গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতা।  

২০ নং ধারা : ক্ষমতা  
ক) কেন্দ্রীয় কমিটি যে কোন অধীনস্ত কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে এবং  প্রয়োজনবোধে জেলা কমিটি ও থানা কমিটির মতামত যাচাই করে সকল অধীনস্ত  কমিটি বাতিল ও পুনর্গঠিত করতে পারবে।
খ) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি যে কোন সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে, তবে ঐ  সদস্য যে শাখার সাথে সম্পর্কিত সে শাখার মতামত যাচাই করবে।
গ) জেলা কমিটি ও থানা কমিটি অধীনস্ত কমিটিকে বাতিল করতে চাইলে কেন্দ্রীয়  নির্বাহী কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে তা করতে পারবে। 
ঘ) গঠনতন্ত্রের ব্যাখ্যা করার অধিকার কেন্দ্রীয় কমিটির থাকবে, যে ব্যাখ্যা  কোনোক্রমেই গঠনতন্ত্রের কোনো অনুচ্ছেদের পরিপন্থী হবে না।  
ঙ) কেন্দ্রীয় কমিটিতে গৃহীত যে কোন মতামত-সিদ্ধান্ত-নির্দেশ কেন্দ্রীয় সদস্যকে  বাধ্যতামূলকভাবে অনুসরণ করতে হবে। এক্ষেত্রে কোন সদস্যের ভিন্নমত  থাকলেও তাকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসরণ করতে হবে। ভিন্নমত নিয়ে লড়াই করবার  ক্ষেত্রে অবশ্যই ধারা ৪১ অনুসরণ করতে হবে।  

পঞ্চম অধ্যায়

২১ নং ধারা : সভাপতির দায়িত্ব  
সভাপতি নির্বাহী কমিটির সভা, কেন্দ্রীয় পরিষদের সভা ও সম্পাদকমণ্ডলীর সভায়  সভাপতিত্ব এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে নিয়োজিত থাকবেন। সভাপতির অনুপস্থিতিতে সহ-সভাপতি এবং সহ-সভাপতির অনুপস্থিতিত থাকলে সেক্ষেত্রে নির্বাহী কমিটির  ১জন সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করবেন। সভাপতি নির্বাহী কমিটির কাছে তাঁর  কাজের জন্য দায়ী থাকবেন।  

২২ নং ধারা : সহ-সভাপতির দায়িত্ব  
ক) সভাপতির অনুপস্থিতিতে সহ-সভাপতিই সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।  
খ) সভাপতির উপস্থিতিতে সভাপতির দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করবেন এবং  কমিটি সদস্যের দায়িত্ব পালন করবেন।  

২৩ নং ধারা : সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব

ক) সংগঠন পরিচালনা করার সার্বিক দায়িত্ব পালন করবেন সাধারণ সম্পাদক।  তিনি নির্বাহী কমিটি ও কেন্দ্রীয় পরিষদের সভায় কার্যক্রমের রিপোর্ট পেশ করবেন।  সাধারণ সম্পাদক নির্বাহী কমিটি, কেন্দ্রীয় পরিষদ ও সম্পাদকমণ্ডলীর সভা আহ্বান করবেন। সাধারণ সম্পাদক নির্বাহী কমিটির নিকট দায়ী থাকবেন।  
খ) সাধারণ সম্পাদক নির্বাহী কমিটির কেন্দ্রীয় পরিষদের ও সম্পাদকমণ্ডলীর  নির্দেশ ও সিদ্ধান্ত কার্যকর করার ক্ষেত্রে সহ-সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য  সম্পাদকগণ সহযোগিতা করবেন।  

২৪ নং ধারা : সহ-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব  
সহ-সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে সাধারণ সম্পাদকের  দায়িত্ব পালন করবেন। সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে তাকে সহযোগিতা  করবেন ও কেন্দ্রীয় সদস্যের দায়িত্ব পালন করবেন।  

২৫ নং ধারা : শাখা সম্পাদকের দায়িত্ব 
বিভিন্ন শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত সম্পাদকগণ সাধারণ সম্পাদকের সহযোগিতায় নিজ নিজ  দায়িত্ব পালন করবেন।  

২৬ নং ধারা : সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব  
সাংগঠনিক বিস্তার, নতুন শাখা গঠন, শাখা সমূহের নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনার  দায়িত্বে থাকবেন।  

২৭ নং ধারা : সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব  
সাংগঠনিক সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন  করবেন। সাংগঠনিক সম্পাদকের উপস্থিতিতে তাকে সহযোগিতা করবেন ও  সদস্যের ন্যায় কাজ করবেন।  

২৮ নং ধারা : অর্থ-সম্পাদকের দায়িত্ব 
অর্থ সম্পাদক ছাত্র ফেডারেশনের তহবিল গঠন ও সংরক্ষণের দায়িত্ব পালন  করবেন। তিনি সংগঠনের আয়-ব্যয়ের হিসাবের বিবরণ দেবেন। তবে বিশেষভাবে নির্দিষ্ট কমিটির কাছে আয়-ব্যয়ের হিসাব দিতে বাধ্য থাকবেন। অর্থ সম্পাদক  নির্বাহী কমিটির কাছে দায়ী থাকবেন।  

২৯ নং ধারা : সহ-অর্থ সম্পাদক 
অর্থ-সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে অর্থ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন। অর্থ  সম্পাদকের উপস্থিতিতে অর্থ-সম্পাদকের কাজে সহযোগিতা করবেন এবং কেন্দ্রীয়  সদস্যের ন্যায় কাজ করবেন। 

৩০ নং ধারা : রাজনৈতিক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব 
সকল সদস্যের তাত্তি¡ক মান বিকাশ এবং আদর্শিক ও রাজ‣নতিক শিক্ষায় সচেতন  করে তোলার লক্ষ্যে সার্বিক সাংগঠনিক উদ্যোগ তত্ত্বাবধান করবেন এবং  পাঠচক্রসমূহের দিক নির্দেশনা ও পরিচর্যার দায়িত্ব পালন করবেন।  

৩১ নং ধারা : দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব 
সাংগঠনিক দলির, কাগজপত্র, ব্যবস্থাপনা ও দপ্তর সংরক্ষণ করবেন।  

৩২ নং ধারা : প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব 
প্রচার কাজের সার্বিক দায়িত্বে থাকবেন। 

৩৩ নং ধারা : প্রকাশনা সম্পাদকের দায়িত্ব 
প্রকাশনা কাজের সার্বিক দায়িত্বে থাকবেন। 

৩৪ নং ধারা : পাঠাগার সম্পাদকের দায়িত্ব  
সংগঠনের পাঠাগার গড়ে তোলার উদ্যোগ নেবেন এবং পাঠাগার পরিচালনা  তত্ত্বাবধান করবেন।  

৩৫ নং ধারা : আন্তর্জাতিক সম্পাদকের দায়িত্ব  
আন্তর্জাতিক যোগাযোগ রক্ষা ও সংগঠনকে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত ও  সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে যাবার সার্বিক দায়িত্বে থাকবেন।  

৩৬ নং ধারা: সমাজকল্যাণ সম্পাদকের দায়িত্ব 
সমাজের সকল প্রকার কল্যাণমূলক কাজের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। 

৩৭ নং ধারা: সাংস্কৃতিক সম্পাদকের দায়িত্ব
সাংস্কৃতিক সংগঠন গড়ে তোলার দায়িত্বে থাকবেন। 

৩৮ নং ধারা: স্কুল বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব 
স্কুলে সংগঠন গড়ে তোলার দায়িত্বে থাকবেন 

৩৯ নং ধারা: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব 
ছাত্র সমাজের মধ্যে বিজ্ঞান চর্চার বিকাশ ও প্রযুক্তি বিষয়ক দক্ষতার মাধ্যমে  সংগঠন বৃদ্ধির দায়িত্বে থাকবেন। 

৪০ নং ধারা: তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব 
সকল ধরনের তথ্য সংরক্ষণ ও গবেষণার সার্বিক দায়িত্বে থাকবেন। 

৪১ নং ধারা : কেন্দ্রীয় সদস্যের দায়িত্ব
নির্ধারিত অঞ্চলে সাংগঠনিক কাজ পরিচালনা, শাখা গঠন, শাখাসমূহের সার্বিক  তত্ত্বাবধান ও সহযোগিতা এবং কেন্দ্রে নিয়মিত রিপোর্ট প্রদান করবেন।  

ষষ্ঠ অধ্যায়

৪২ নং ধারা : সভা 
ক) কেন্দ্রীয় কমিটি বছরে অন্তত ৪টি, কেন্দ্রীয় পরিষদ ২টি, জেলা কমিটি ৫টি,  থানা কমিটি ৬টি, ওয়ার্ড/ইউনিয়ন কমিটি ৮টি, মহল্লা কমিটি ১০টি ও শাখা কমিটি  ১২টি সভা করবে। কোনো সদস্য পর পর ৩টি সভায় উপযুক্ত কারণ ছাড়া  অনুপস্থিতিত থাকলে তার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কমিটি শাস্তিমূলক ব্যবস্থান হিসেবে  সতর্কীকরণ, দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে নতুনদের কোঅপ্ট (অন্তর্ভুক্ত) করতে  পারবে। 

খ) উপরোক্ত কমিটিসমূহের সভা স্ব-স্ব সাধারণ সম্পাদক আহ্বান করবেন। বিশেষ অবস্থায় সভাপতি সভা আহ্বান করতে পারবেন। শাখা কমিটির ক্ষেত্রে শাখা  সম্পাদক সভা আহ্বান করবেন। বিশেষ অবস্থায় আহ্বায়ক সভা আহ্বান করতে  পারবেন। কেন্দ্রীয় কমিটি কেন্দ্রীয় পরিষদের ক্ষেত্রে সভা আহ্বান করার পূর্বে  অন্তত ১৫ দিনের নোটিশ এবং জেলা, থানা, ওয়ার্ড/ইউনিয়ন মহল্লা ও শাখা  কমিটির ক্ষেত্রে অন্তত: ৭ দিনের নোটিশ প্রদান করতে হবে। তবে জরুরি অবস্থায় স্বল্পকালীন সময়ের এবং প্রয়োজন ও সম্ভব হলে ২৪ ঘণ্টার নোটিশে সভা আহ্বান করা যাবে।  

গ) উপরোক্ত সকল সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের উপস্থিতিতে সভার কোরাম পূর্ণ  হবে।  

ঘ) সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রত্যক্ষ ভোটে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। 

ঙ) কমিটির অনুমোদনক্রমে যে কোন শাখা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাধারণ  সভা ডাকতে পারবেন। সভায় এক তৃতীয়াংশ সদস্য উপস্থিত হলে কোরাম পূর্ণ  হবে, তবে অবশ্যই সকল সদস্যকে সভার নোটিশ দিতে হবে।  

৪৩ নং ধারা : তলবী সভা  

ক) কেন্দ্রীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় পরিষদ, জেলা, থানা, ওয়ার্ড/ইউনিয়ন, মহল্লা কমিটির  সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদক যথাযথভাবে সভা আহ্বান করতে ব্যর্থ হলে  নির্দিষ্ট কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য উক্ত কমিটির সভা আহ্বান করার জন্য সভাপতি  ও সাধারণ সম্পাদককে লিখিতভাবে অনুরোধ করতে পারবেন। শাখা কমিটির  ক্ষেত্রে আহ্বায়ক অথবা সম্পাদক যথাযথভাবে সভা আহ্বান করতে ব্যর্থ হলে  একই নিয়মে তলবী সভা আহ্বান করা যাবে। লিখিত অনুরোধ প্রাপ্তির ১৫ দিনের  মধ্যে সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক সভা আহ্বান করতে ব্যর্থ হলে সভার জন্য  অনুরোধকারী সদস্যগণ নিজেরাই উক্ত কমিটির সভা আহ্বান করতে পারবেন। এই  তলবী সভা বিবেচিত হবে।  

খ) তলবী সভার সিদ্ধান্তসমূহ মোট সদস্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে গৃহীত হবে।  

সপ্তম অধ্যায়

৪৪ নং ধারা : আয়ের উৎস 

ছাত্র ফেডারেশনের আয়ের উৎস সদস্যদের চাঁদা, প্রকাশনা বিক্রির টাকা, গণচাঁদা  এবং ছাত্র ফেডারেশনের সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের অর্থ সাহায্য।  

৪৫ নং ধারা : তহবিল  

ক) ছাত্র ফেডারেশনের তহবিল যে কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখাসমূহে  থাকবে।  

খ) সভাপতি ও অর্থ সম্পাদক অথবা সাধারণ সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদক যুক্তভাবে  ছাত্র ফেডারেশনের হিসাব (একাউন্ট) পরিচালনা করবেন। 

গ) আহ্বায়ক কমিটির ক্ষেত্রে আহ্বায়ক ও সম্পাদক অথবা আহ্বায়ক ও কমিটির  অন্য একজন সদস্য যুগ্মভাবে হিসাব পরিচালনা করবেন। বিশেষ ক্ষেত্রে আহ্বায়ক এককভাবে হিসাব পরিচালনা করতে পারবেন।  

৪৬ নং ধারা : চাঁদা  

ক) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছাড়া ছাত্র ফেডারেশনের প্রত্যেক প্রাথমিক সদস্যের  মাসিক চাঁদা ন্যূনতম ৫ টাকা। মাসিক চাঁদা প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে  অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে। মাসিক চাঁদা সম্পূর্ণভাবে নির্দিষ্ট শাখার তহবিল  হিসাবে বিবেচিত হব। কোন শাখা তাদের সদস্যের সর্বসম্মতিক্রমে মাসিক চাঁদা  বাড়াতে পারবেন।  

খ) কেন্দ্রীয় কমিটির প্রত্যেক সদস্যদের মাসিক চাঁদা নুন্যতম ৫০ টাকা যা প্রতি  মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।  

গ) জেলা কমিটি ও শাখা কমিটি কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে সংগৃহীত তহবিলের নুন্যতম শতকরা বিশ ভাগ কেন্দ্রীয় তহবিল গঠনে সহায়তা করবে। একমাত্র কেন্দ্র থেকে  প্রদত্ত রশিদ বইয়ের মাধ্যমেই বিভিন্ন শাখা তহবিল সংগ্রহ করবে। কেন্দ্রীয় কমিটি  বিশেষ ক্ষেত্রে এই হার বৃদ্ধি করতে পারবে এবং আলোচনা সাপেক্ষে নির্দিষ্ট  পরিমাণ অর্থ প্রেরণ করতে বলতে পারবে।  

ঘ) সদস্য পদের জন্য আবেদন কালে প্রত্যেক সদস্যকে ৫ টাকা, অন্তর্ভুক্তি চাঁদা  দিতে হবে। এই অর্থের পুরোটাই কেন্দ্রীয় কমিটিতে জমা দিতে হবে।  

ঙ) প্রত্যেক সদস্যকে প্রতি বছর ৫ টাকা চাঁদা দিয়ে সদস্যপদ নবায়ন করতে হবে।  এই অর্থের পুরোটাই কেন্দ্রীয় কমিটির প্রাপ্য।  

চ) কোনো সদস্য উপযুক্ত কারণ ছাড়া পরপর ৩ মাস চাঁদা পরিশোধে ব্যর্থ হলে  তার সদস্য পদ স্থগিত হয়ে যাবে এবং পরবর্তী ১ মাসের মধ্যে চাঁদা পরিশোধে  ব্যর্থ হলে তাঁর সদস্য পদ বাতিল হয়ে যাবে।  

অষ্টম অধ্যায়

৪৭ নং ধারা : সংগঠনের শৃঙ্খলা সম্পর্কে  

কোনো সদস্য ছাত্র ফেডারেশনের শৃঙ্খলা ও নীতি লঙ্ঘন করলে সংগঠনের বিভিন্ন  স্তরের কমিটি নিজ আওতাধীনে, বাস্তব অবস্থানুসারে, পৃথক পৃথকভাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অভিযোগ যথাযথভাবে মীমাংসা না হওয়া  পর্যন্ত সকল সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহিত দেয়া যাবে। অভিযোগ গুরুতর ও  তদন্তযোগ্য মনে করলে তদন্ত চলাকালীন অবস্থায়  অভিযুক্ত ব্যক্তিকে সকল  সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে বিরত রাখা হবে। যথাযথ কমিটি ক্সবঠকের মাধ্যমে  অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনা করে সতর্ক করা, নেতৃত্ব পদ থেকে সরিয়ে দেয়া,  সংগঠন থেকে বরখাস্ত করা অথবা বহিষ্কার করা যাবে। নিম্নতর কমিটিতে গৃহীত  সিদ্ধান্ত যথার্থ না মনে করলে অভিযুক্ত কিংবা অভিযোগকারী উভয়েই নিজ কমিটির  মাধ্যমে উচ্চতর কমিটির হস্তক্ষেপ দাবি করতে পারবেন। কোন জেলা, থানা  ওয়ার্ড/ইউনিয়ন, মহল্লা বা শাখা কমিটি শৃঙ্খলা ভঙ্গ, উপদলীয় চক্রান্ত অথনা নীতি  লঙ্ঘন করলে উচ্চতর কমিটি কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে ঐ কমিটি ভেঙে  দিয়ে নতুন নির্বাচন বা মনোনয়নের দ্বারা নতুন কমিটি গঠন করতে পারবে।  

নবম অধ্যায়

৪৮ নং ধারা : অভ্যন্তরীণ সংগ্রাম 

সংগঠনের ভিতরে সংগঠনের নীতি ও কৌশল সম্পর্কে কার্যকরী আলোচনা এবং  মতাদর্শগত সংগ্রাম চালানোর অখণ্ডনীয় অধিকার ছাত্র ফেডারেশনের প্রত্যেক  

সদস্যের আছে। সংগঠনের নীতি ও কে․শলের প্রশ্নে কোন জেলা, থানা,  ওয়ার্ড/ইউনিয়ন মহল্লা বা শাখা কমিটি অথবা সদস্য যদি সংগঠনের ভিতরে  আলোচনা করতে চান তাহলে সমগ্র সংগঠনের ভিতর আলোচনার জন্য  গণতান্ত্রিকতার নীতি অনুযায়ী নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।  

ক) সংগঠনের নীতি ও কৌশল সম্পর্কে কোন সদস্য তাঁর মতামত সংগঠনে  আলোচনার প্রস্তাব উপস্থাপন করলে প্রথমে সে বিষয়ে তার নিজের শাখা মতামত  গ্রহণ করে তা জেলা কমিটিতে পেশ করতে হবে, জেলা কমিটি উক্ত বিষয়ে তার  মতামতসহ বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটির নিকট পেশ করবে।  

খ) কোন জেলা/থানা কমিটি সংগঠনের নীতি ও কে․শল সম্পর্কে কোন নতুন  বিষয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করলে এবং তা সংগঠনের ভিতরে আলোচনা করতে চাইলে  গৃহীত প্রস্তাবটি কেন্দ্রীয় কমিটির নিকট পেশ করবে। কেন্দ্রীয় কমিটি বিষয়টি  সম্পর্কে তাদের মতামতসহ উক্ত প্রস্তাব বিভিন্ন স্তরের কমিটির নিকট পাঠাবে।  অর্ধেক অথবা তার বেশি কমিটি প্রস্তাবের পক্ষে মতামত জ্ঞাপন করলে কেন্দ্রীয়  কমিটির বর্ধিত সভা (কেন্দ্রীয় পরিষদের সভা) আহ্বান করে উক্ত প্রস্তাব সম্পর্কে  সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে এবং প্রয়োজনবোধে বিশেষ প্রতিনিধি সম্মেলন আহ্বান করবে।  

গ) কেন্দ্রীয় কমিটির মধ্যে কেন্দ্রীয় সম্মেলনে গৃহীত নীতি ও কে․শল সম্পর্কে  সংখ্যাধিক্যের অভাব ঘটলে অথবা সম্পর্কিত বিষয় বা কোন মত সম্পর্কে যদি  কেন্দ্রীয় কমিটি ছাত্র ফেডারেশনের মতামত যাচাই করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব  করে তাহলে উক্ত অভিমত সম্পর্কে কেন্দ্রীয় কমিটির ভিতর বিভিন্ন মতামত সমস্ত সংগঠনের ভিতরে প্রকাশ করতে পারবে অথবা সে সমস্ত মতামত জেলা  কমিটিসমূহের নিকট উপস্থিত করবে এবং যথাসম্ভব কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ধিত সভা  (কেন্দ্রীয় পরিষদের সভা) আহ্বান করতে হবে। বর্ধিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী  পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।  

নীতি ও কৌশল সম্পর্কে মতাদর্শগত সংগ্রামের ক্ষেত্রে ছাত্র ফেডারেশনের  ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্রকে দৃঢ়ভাবে অনুসরণ করা অবশ্য করণীয়। সংগনের ঐক্য  বজায় রাখা, ভুল বর্জন করা এবং সঠিক নীতি ও কৌশলের ভিত্তিতে সংগঠনকে  নতুনভাবে ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী করা প্রত্যেক সদস্যের দায়িত্ব ও কর্তব্য।  

দশম অধ্যায়

৪৯ নং ধারা : গঠনতন্ত্র সংশোধন 

ছাত্র ফেডারেশনের গঠনতন্ত্র সংশাধন, সংযোজন ও বিয়োজন সংক্রান্ত প্রস্তাব  কেন্দ্রীয় সম্মেলন/কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে সংখ্যাগরিষ্ঠের প্রত্যক্ষ ভোটে গৃহীত হবে। এ  সম্পর্কিত প্রস্তাব কেন্দ্রীয় সম্মেলনের পূর্বে লিখিতভাবে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে উপস্থাপন করার অধিকার রয়েছে। কেন্দ্রীয় সম্মেলন/কেন্দ্রীয় কাউন্সিল যদি কোন কমিটির উপর গঠনতন্ত্র সংশোধনের দায়িত্ব দেয় তবে তারা তা সংশোধন,  সংযোজন ও বিয়োজন করতে পারবে।  

৫০ নং ধারা : ছাত্র ফেডারেশন-এর রাজনৈতিক অবস্থান  

বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন সহযোগী সংগঠন হিসেবে গণসংহতি আন্দোলনের  সাথে যুক্ত থাকবে। সংগঠনের অগ্রসর ছাত্র কর্মীদের ছাত্র রাজনীতি শেষে শ্রেণি- পেশার রাজনীতিতে অংশ নেয়ার জন্য যথোপযুক্ত কাজ করতে হবে।  

সমাপ্ত