ভারতজুড়ে সাম্প্রদায়িক হত্যাকান্ডের হোতা নরেন্দ্র মোদিকে প্রত্যাখ্যান
ভারত সরকার যে উগ্র সাম্প্রদায়িক নীতি গ্রহণ করেছে, সেটা শুধু ভারতেই নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়বে। ভারতজুড়ে উগ্র সাম্প্রদায়িক হত্যাকান্ডের দায় নরেন্দ্র মোদিকেই নিতে হবে। নরেন্দ্র মোদির পরিচয় ফ্যাসীবাদের বিরুদ্ধে ভারত, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ঐক্যবদ্ধভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।ছাত্র ফেডারেশনের আয়োজনে ভারতজুড়ে সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধ, সীমান্ত হত্যা বিচার এবং বাংলাদেশ নিয়ে অপপ্রচার বন্ধের দাবিতে ‘ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে অবস্থান’ কর্মসূচিতে ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি গোলাম মোস্তফা এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে মুজিববর্ষ পালিত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে, রাষ্ট্রীয়ভাবে। যে দেশ বাংলাদেশের নাগরিকদের হত্যা করছে সে দেশের সরকার প্রধানকে অতিথি হিসেবে কোনোভাবেই আমন্ত্রণ জানানো উচিৎ নয়। সাম্প্রদায়িক সহিংসতাকারী নরেন্দ্র মোদিকে আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। সরকার আমাদের প্রতিবাদকে আমলে না নিলে সকল গণতান্ত্রিক-প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন ও জনগণকে সাথে নিয়ে নরেন্দ্র মোদির সফরকে তীব্রভাবে প্রতিহত করা হবে।
গোলাম মোস্তফা আরো বলেন, ভারতজুড়ে ঘৃণা ছড়ানো সাম্প্রদায়িক হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ন্যায্য আন্দোলন গড়ে উঠেছে। এনআরসি-সিএএ’র বিরুদ্ধে আন্দোলনকে প্রতিহত করতেই দিল্লি-মেঘালয়সহ ভারতজুড়ে সহিংতা ছড়াচ্ছে ভারতের বিজেপি সরকার। ভারত সরকার আন্দোলনের দাবি না মেনে বরং রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ঘোষণা দিয়ে মুসলিম জনগণের ওপর হামলে পড়েছেন। ভারতের সাম্প্রদায়িক নীতির বিরুদ্ধে যারা লড়াই করছেন আমরা তাদের সাথে সংহতি জানাচ্ছি। অবিলম্বে এই সাম্প্রদায়িক হত্যাকান্ড ও বাংলাদেশ সম্পর্কে অপপ্রচার চালানো বন্ধ করতে হবে।
সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন বলেন, গত ১৫ বছরে সীমান্তে পাখির মত গুলি করে সহস্রাধিক বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা করছে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। সীমান্তে ফেলানী হত্যাসহ সব ধরণের হত্যাকান্ডের বিচার ও সীমান্ত হত্যাকান্ড বন্ধের দাবি জানান। এই সীমান্ত হত্যা বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মর্যাদাপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমেই তা সম্ভব।
ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে অবস্থান’ কর্মসূচী পালনকালে পুলিশি বাঁধার সম্মুখিন হন নেতৃবৃন্দ। কেন্দ্রীয় সভাপতি গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাদিক রেজা ও মশিউর রহমান খান রিচার্ড, ভারপ্রাপ্ত অর্থ সম্পাদক আহমেদ নবীন, দপ্তর সম্পাদক এম এইচ রিয়াদ, কেন্দ্রীয় সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি শুভ দেব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আবু রায়হান খান ও সাধারণ সম্পাদক সালমান ফরাজী, ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক সৈকত আরিফ ও সম্পাদক রূপক রায়সহ নেতৃবৃন্দ।
তারিখ: ৫ মার্চ ২০২০
ছাত্র ফেডারেশন সবসময়ই মানুষের জন্য লড়াই করে যাচ্ছে ।